তীব্র গরমে সারাদেশে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। তবে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ওষুধ ও শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশজুড়ে প্রচন্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র তাপদাহের কারণে বেড়েছে রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়ায়।

জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ। শয্যা না পেয়ে মেঝেতেই সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। চিকিৎসকরা বলছেন, যে পরিমান রোগী হাসপাতালে আসছে, তার চেয়ে বেশি রোগী বাড়িতে রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে, সারাদেশে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে আগের মাসের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ। তাপদাহের পর বৃষ্টি হলে ডায়রিয়ার প্রকোপ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাও রয়েছে। তবে এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।